বিজয়বাবুকে অন্ধকারে বটগাছের নীচে দেখতে পেয়ে সে এগিয়ে গেল। বিজয়বাবু নিজেকে বাইরের দিক থেকে ততসময়ে নিজেকে সামলে নিয়েছেন। মনের ভিতরে ঝড় বয়ে চলেছে। একসময় সবকিছু এমনভাবে সমাপ্ত হল যে বিজয়বাবুর কাছে সবকিছু স্বপ্ন বলে মনে হতে লাগল।
দিন যায় দিন আসে বিজয়বাবু ক্রমশ নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। চার দেওয়ালের বাইরে তাকে কদাচিৎ দেখা যায়। তিনি সেই ছেলেটির কাছে নিঃশব্দে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন তিনি অন্যায় করেছেন। তিনিও সমান অপরাধী।
এভাবে চোখের সামনে তার অক্ষমতাকে ছোট করার শাস্তি বিজয়বাবুকে নিয়তি দিয়েছে। ছেলেটি এতদিন পর সুযোগ পেয়েছে বিজয়বাবুকে একান্তে নিজের করে পাওয়ার। সে বিজয়বাবুর স্ত্রীর মত সংসারের যাবতীয় কাজ করতে লাগল।
একদিন সুযোগ বুঝে ছেলেটি বাজার থেকে উত্তেজক ক্যাপ্সুল এনে দুধের সাথে মিশিয়ে বিজয়বাবুকে দুপুরবেলা খাইয়ে দিল। রোজকার মত বিজয়বাবুর রুম পরিষ্কার করতে লাগল।
অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই বিজয়বাবুর পুরুষাঙ্গ লোহার মত শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। ছেলেটি কায়দা করে বাথরুমে ঢুকে একগাদা জামা কাপড় ডাই করে কাঁচার জন্য জমা করতে লাগল। বিজয়বাবু তাকে তাড়া দিলেন।
বিজয়বাবু দুই হাতে ধুতি আড়াল করে বাথরুমে ঢুকে গেলেন। পুরুষাঙ্গ কে ধুতি থেকে মুক্ত করে তিনি জোরে জোরে আগে পিছে করতে লাগলেন। কিন্ত আশ্চর্য ভাবে আজ বীর্যপাত তিনি দ্রুত করতে পারছেন না।
বাইরের ঘরে ছেলেটি কাজ করছে। এতসময় বাথরুমে অগত্যা তিনি বাইরে বেরিয়ে বিছানাতে বসলেন। তিনি প্রচন্ড কামতাড়নায় ছটফট করছেন। আজ যদি মেয়েটি থাকত।
তিনি বাইরে বেরিয়ে কমন বাথরুমে ঢুকলেন। এখানে কেউ তাকে বিরক্ত করবে না। বেশ কিছু সময় পর দরজায় আওয়াজ পেলেন। বাবু আপনি ভিতরে। ভিতরে একটি বালতি আছে একটু এগিয়ে দেবেন।
বিজয়বাবু প্রচণ্ড বিরক্ত হলেন। তিনি দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলেন আর বাগানে চলে এলেন। আর ধুতি খুলে ঘাসের উপর পেতে শুয়ে এই দুপুরবেলায় তার দীর্ঘ শক্ত পুরুষাঙ্গটিকে জোরে জোরে আগে পিছে করতে লাগলেন।
ছেলেটি খুব দ্রুত সব কাজ পরিকল্পনামত গুছিয়ে ফেলেছিল। বিজয়বাবুকে বাগানে এরকমভাবে দেখতে পাবে স্বপ্নেও ভাবেনি। সাহস সঞ্চয় করে সে ধীরে ধীরে তার পাশে গিয়ে ওনার বুকে একটি হাত আর অন্য একটি হাত দিয়ে অণ্ডকোষ উপর বোলাতে লাগল।
বিজয়বাবু বাধা দেবার শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। ছেলেটি প্রানভরে বিজয়বাবুকে বীর্যপাত করতে সাহায্য করল। সমস্ত শরীরটাকে নিজের মত করে ভোগ করল।
বিজয়বাবুর কামোন্মত্ততা ছেলেটিকে শরীরের প্রতিটি লোমকুপে আদর করার অনুমতি প্রদান করেছিল। ছেলেটি তার পূর্ন সুযোগ গ্রহন করল। বিজয়বাবু বেশ কয়েকবার বীর্যপাত করে প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরলেন।
বীর্যবান বিজয়বাবুর প্রতি বিন্দু ছেলেটি গ্রহন করে ওনাকে চরমভাবে সুখ দিল। ঔষধের তেজ কমে যাবার পর বিজয়বাবুর মাথা কাজ করতে লাগল। রাত্রে তিনি প্রচন্ড রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে মদ্যপান করতে করতে ছেলেটির সামনাসামনি হলেন।
ছেলেটি প্রচন্ড ভয়ে ওনার দুই পা ধরে সব কথা স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে লাগল। বিজয়বাবু ছেলেটিকে পুরো নগ্ন করে হাত পা মুখ বেঁধে ঘাটের কাছে নিয়ে গেলেন।
সুমি ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে প্রতিদিন রাত্রেই বিজয়বাবুকে একবার দেখার জন্য ঘাটে এসে বসত। আজও সে চলে যাবার সময় হঠাৎ করে খেয়াল করে ওপারে বিজয়বাবুর উপস্থিতি। জটিলতা আঁচ করেই সুমি আজ নগ্ন না হয়েই ওপারে যাবার সিদ্বান্ত নেয়।
ওদিকে ছেলে…..ভাগ্যের উপর ভরসা করে সে খুব ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়। আকণ্ঠ মদ্যপান করে বেসামাল বিজয়বাবু ছেলেটির মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে নিয়ে বলে তোকে জলে ডুবিয়ে মারব বানচোৎ। ছেলেটি প্রানভিক্ষা করতে থাকে।
বিজয়বাবু বলতে থাকে তুই শালা আমার ছেলেকেও হয়ত মেরেছিস। তোকে এ পৃথিবীতে থাকার কোন অধিকার নেই। ছেলেটির কাকুতি মিনতি কোন কাজে আসছিল না। বিজয়বাবুর নেশার ফায়দা নিয়ে ওনার নাকের ডগা দিয়ে সুমি ছেলেটিকে বাঁধন মুক্ত করে তাকে ঘরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলে।
ছেলেটি চলে যেতেই সুমি তার জায়গায় নগ্ন হয়ে শুয়ে পড়ে। বিজয়বাবু বিড়বিড় করতে করতে সুমিকে ছেলেটি ভেবে তুলতে গিয়ে নারী শরীরের স্পর্শে হতবাক হয়ে যায়।
সুমি তখন কাঁদোকাঁদো হয়ে বলে আপনি আমাকে মেরে ফেলবেন।
বিজয়বাবু দুচোখ কচলাতে থাকে। আমতা আমতা করে তিনি তার স্তন, পেট, যোনী, থাই উরু খামচে খামচে ধরতে লাগলেন। তারপর হু হু করে কেঁদে ফেললেন। জড়ানো কথায় কি বলতে চাইছিলেন সুমি না বুঝতে পারলেও তার ভাবনা বুঝতে পারল।
কিছু সময়ের মধ্যেই বিজয়বাবু তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেই নেশার ঘোরে হুঁশ হারিয়ে ফেললেন। সুমি নিজেকে বন্ধনমুক্ত করে ভিজে শাড়ী শরীরে পেঁচিয়ে বিজয়বাবুকে ধরে ঘরে নিয়ে গেলেন। তারপর ছেলেটির কাছ থেকে সব কিছু শুনলেন বিজয়বাবুর সন্তান, তার এবং তার স্ত্রীর পুরো ঘটনা।
সুমি বলল দেখ তোমাকে রোজরোজ বাঁচাতে আমি আসব না। তবে আমার কথা মত যদি চল তাহলে সারাজীবন তুমি নিশ্চিন্তে এবাড়িতে থাকতে পারবে। ছেলেটি মাথা নাড়ল। সে ছেলেটিকে বিজয়বাবু ঘুম ভাঙার আগেই বাজারে গিয়ে কি করতে হবে সেসব বুঝিয়ে দিয়ে বলল, বিকেলের আগে সে যেন এবাড়িতে না ঢোকে। তারমধ্যে সমস্তকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
সুমি সেই মেয়েটির একটি শাড়ী চেয়ে নিয়ে ভিজে শাড়ীটি চেঞ্জ করে বাড়ী ফিরে আসল। ছেলেটি তখন নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। সুমি মনে মনে বলল কাল তোর আসল পিতৃপরিচয় শুধুমাত্র এপৃথিবীতে আর একজনই জানবে। তোর বাবা এই বলে মাথায় একটু হাত বুলিয়ে অজানা পরিস্থিতির মুখোমুখি হবার জন্য সময় গুনতে লাগল।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বিজয়বাবু হন্তদন্ত হয়ে ছেলেটিকে খুঁজতে লাগলেন। কোথাও না পেয়ে তিনি দরদর করে ঘামতে লাগলেন। কাল তাকে হাত পা বেঁধে ঘাটে নিয়ে তবে কি….
তিনি ঘরের বাইরে যেতেই সুমির সাথে দেখা। সুমি সরাসরি আক্রমন করল। আপনার কাজের ছেলেটির নগ্ন লাশ জলে ভাসছে। পুলিশে খবর দিলেই আর কিছু সময়ের মধ্যেই হয়ত এদিকে আসবে। বিজয়বাবু হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।
সুমি বলল কি হয়েছে? আমাকে সব কিছু খুলে বলুন। এরমধ্যে সুমির কোলে তার ছেলেটি কেঁদে উঠল। তাকে শান্ত করে বিজয়বাবুকে ধরে বাগানের বাঁধানো গাছের নিচে গিয়ে একপ্রকার জোর করেই বসিয়ে দিল।
বিজয়বাবুর ঠোঁট কাঁপতে লাগল। তার জামা ধুতি সব ঘামে ভিজে একাকার হয়ে গেছে। সুমি ওনাকে জামা খুলে বসার জন্য বলে ছেলেটির জন্য আনা হাত পাখা দিয়ে হাওয়া করতে লাগল। বিজয়বাবু জামা খুলে তা দিয়ে শরীরের ঘাম মুছে কোলের উপর জামাটি রেখে খালি গায়ে বসে হাওয়া খেতে লাগলেন।
সুমি বলল আপনিই ছেলেটিকে নেশার ঘোরে খুন করেছেন তাই না।
বিজয়বাবু চমকে উঠলেন।
তিনি বললেন বিশ্বাস কর সুমি আমার কিছু মনে নেই। সুমির কষ্ট হচ্ছিল ওনাকে এভাবে কষ্ট দিতে কিন্ত কিছু করার নেই। সে পুনরায় জিজ্ঞেস করল তবে কি কারন। কি সম্পর্ক আপনার সাথে তাদের। আপনার তো তিনকূলে কেউ নেই তবে এরা কারা। সত্যি করে বলুন তাহলে আমি হয়ত আপনাকে সাহায্য করতে পারি।
বিজয়বাবু রহস্যময়ী নারী থেকে ছেলেটির গতদিনের উত্তেজক ঔষধের কান্ড এ সমস্ত ঘটনা পরপর বলে গেলেন। তারপর বলল তুমি আর তোমার ছেলে ভাল থেক সুমি। আদালতে আমি অন্যকিছু বলে দোষ স্বীকার করে নেব। এই বলে তিনি উঠে দাঁড়ালেন।
সুমি সব কিছু মন দিয়ে শুনে বিজয়বাবুকে গম্ভীর কন্ঠে বলল বসুন এখানে চুপটি করে আপনাকে কোন আদালতে যেতে হবে না।
এই গল্পের পরবর্তী পর্ব
গল্পটি কেমন লাগলো এবং পরবর্তীতে কোন ক্যাটাগরির গল্প চান? কমেন্ট করে জানান। ধন্যবাদ!